সিজারের পর খাবার তালিকা - সিজারের পর বেল্ট পরার নিয়ম
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আজকে আমি সিজারের পর খাবারের তালিকা এবং সিজারের
পর বেল্ট পরার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। একজন মা যখন সিজারের মাধ্যমে
ডেলিভারি হয় তখন তার ওপর দিয়ে একটি বড় ঝড় বয়ে যায়। সিজারিয়ান অপারেশন অনেক
বড় একটি অপারেশন।
এ সময় অনেক মা দুশ্চিন্তায় থাকেন তার নিজের অপারেশন হয়েছে সে কিভাবে নিজের
খেয়াল রাখবে, এবং কিভাবে তার সদ্য চাঁদ শিশুর খেয়াল রাখবে। এই নিয়ে এসে অনেক
দুশ্চিন্তা গ্রস্ত থাকে। একজন নতুন মা এমন এই সম্পর্কে জানেন না তেমনি তার
পরিবারের লোকজন এই সম্পর্কে জানে না। এ সম্পর্কে না জানলে অনেক ভুল হতে পারে
যাতে মা এবং শিশু দুজনারি স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে।
সুতরাং সিজারের পর মায়ের খাবার তালিকা কেমন হওয়া উচিত বেল্ট পরার সময় কি কি
নিয়ম মেনে চলা উচিত ইত্যাদি সম্পর্কে মা এবং তার পরিবারের স্পষ্ট ধারণা থাকা
জরুরী। স্পষ্ট ধারণা না থাকলে অনেক ভুল হতে পারে যা মা এবং শিশুর জীবন ঝুঁকির
মধ্যে ফেলতে পারে।
এছাড়াও আমাদের সমাজে কিছু প্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে যার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি
তৈরি হতে পারে। সুতরাং এই সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলা অত্যন্ত জরুরি। কাউকে
ছাড়াও খাবার তালিকা থেকে শুরু করে বেল্ট করার নিয়ম এবং আরো অনেক কিছু বিষয় আছে
যা জানা প্রয়োজন। এ সকল বিষয় নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি জানতে পারবেন সিজারের পর
খাবার তালিকা কেমন হওয়া উচিত, সিজার কি, সিজার কেন করা হয়, সিজারের পর কি কি ফল
খাওয়া যাবে, সিজারের পর বেল্ট পরার নিয়ম, সিজারের পর কতদিন বেল্ট পড়তে হয়
ইত্যাদি।
এ সকল বিষয়ে সঠিক তথ্য আপনারা জানা থাকলে সিজার পরবর্তী সময়ে আপনাকে কোন
জটিলতার সম্মুখীন হতে হবে না। চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক এই সম্পর্কে সঠিক
তথ্যগুলো যা আপনার এবং আপনার পরিবারকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।
পেজ সূচিপত্রঃ সিজারের পর খাবার তালিকা
- সিজার কি এবং কাকে বলে
- সিজারের পর খাবার তালিকা
- সিজারের পর কি কি ফল খাওয়া যাবে
- সিজারের পর কোন ফল খাওয়া যাবে না
- সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায়
- সিজারের পর কি কি খাওয়া যাবে না
- সিজারের পর গরুর মাংস খাওয়া যাবে
- সিজারের কতদিন পর দুধ খাওয়া যায়
- সিজারের পর শোয়ার নিয়ম
- সিজারের পর বেল্ট পরার নিয়ম
- সিজারের পর বেল্ট পরলে কি হয়
- সিজারের পর কতদিন বেল্ট পরতে হয়
- সিজার সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন?
- শেষ কথাঃ
সিজার কি এবং কাকে বলে
মায়ের তল পেট বা জরায়ুর দেওয়াল কেঁটে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতিতে বাচ্চা প্রসব
করাকে সিজার বলে। মায়ের উচ্চ রক্তচাপ থাকলে খাবার কম পায়। তখন জরায়ুর দেওয়াল
কেঁটে বাচ্চা প্রসব করাতে হয়। কারণ খাবার না পেলে তো বাচ্চা মারা যাবে। আর মাকে
যত বেশি উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ দেওয়া হয় বাচ্চার ক্ষতি সম্ভাবনা তত বৃদ্ধি
পায়। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় বাচ্চা পেটের ভেতরেই মারা যায়। তাই সিজার
করাতে হয়।
সিজারের পর খাবার তালিকা
আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সি সেকশন ডেলিভারি অর্থাৎ সিজারের পর মেয়েরা অত্যন্ত
দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় কি ধরনের খাবার খাবেন, কি করবেন যার থেকে এই দুর্বলতা
কাটানো সম্ভব। এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়বেন। এটির মাধ্যমে আপনারা
জানতে পারবেন সিজারের পর খাবার তালিকা কেমন হওয়া উচিত।
যার ফলে নিজের এবং নিজের পরিচিত নতুন মায়েদের সিজারের পর খাবার তালিকা সম্পর্কে
ধারণা দিতে পারবেন। সিজারের পর মায়েদের দুর্বল অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক একটি
বিষয়। কারণ সিজার অনেক বড় একটি অপারেশন এর পাশাপাশি আপনার কোলে এসেছে একটি
নবজাতক শিশু যার দায়িত্ব আপনার।
সিজারের পর মায়ের শরীর থেকে অনেক রক্তক্ষরণ হয় এবং প্রায় এক মাসের মতো
মিন্সট্রুয়েশন এর মত ব্লিডিং হয়। এছাড়াও এ সময় ব্রেস্ট ফিডিং করাতে হয়।
প্রেগনেন্সিতে খাওয়া খাবার গুলো ডেলিভারির পরেও কন্টিনিউ করতে হবে।
ভিটামিন ও ফলিক অ্যাসিড জাতীয় খাবার খেতে হবে। ব্রেস্ট ফিলিং এর কারনে বাচ্চা
আপনার দেহ থেকে কার্বোহাইড্রেট দিয়ে দিচ্ছে তাই আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে আপনার
খাবারে যাতে কার্বোহাইড্রেট এর পরিমাণ বেশি থাকে। শরীরের দুর্বলতা কাটানোর জন্য
ডিম খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি খুব ভালো একটি প্রোটিনের উৎস।
- দিনে অন্তত দু-তিনটি ডিম খাওয়া উচিত।
- বাদাম আপনার ডায়েট চার্টে রাখা আবশ্যক। আপনি কাঠ বাদাম অথবা কাজু বাদাম নিয়মিত খেতে পারেন।
- এ সময় প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। ডাবের পানি খেতে হবে।
- সিজারের পর প্রতিদিন অন্তত একটি করে ডাব খাওয়া উচিত।
- সকালে এক গ্লাস দুধ খেতে হবে এবং রাতে এক গ্লাস দুধ খেতে হবে।
- সিজারের পর রাফেজ সমৃদ্ধ খাবার বা আঁশযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে।
সিজারের পর কি কি ফল খাওয়া যাবে
বাচ্চাকে ভালো পুষ্টি সরবরাহ করা, মায়ের দেহে নিরাময়ে সহায়তা করা, সঠিক হজম
এবং অন্ত্রের সহজ গতি বজায় রাখার জন্য একটি আদর্শ ডায়েট গুরুত্বপূর্ণ। যাতে
পেটের ওপর চাপ না পড়ে। সে ক্ষেত্রে সিজারের পর খাদ্য তালিকায় ফল রাখা আবশ্যক।
এ সময় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল খাওয়া বেশি জরুরী। তাই খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন,লেবু, কমলা, মাল্টা, পেয়ারা ও আমলকি রাখতে হবে।
এছাড়াও আরো কিছু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল যেমন পেঁপে, তরমুজ ও স্ট্রবেরি খাদ্য
তালিকায় রাখা উচিত।
সিজারের পর কোন ফল খাওয়া যাবে না
সিজারের পর ডাক্তাররা সাধারণত ফলমূল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যদিও অনেকে বলে
টক জাতীয় ফল খাওয়া যাবে না কিন্তু টক জাতীয় ফল বেশি বেশি খাওয়া উচিত এতে
সেলাই দ্রুত শুকাতে সাহায্য করে। সিজারের পর ফলমূল বেশি বেশি খাওয়া উচিত।
কোন ফলের ক্ষেত্রেই নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও সিজারের পর ডাক্তাররা কাঁঠাল খেতে নিষেধ
করেন। কারণ কাঁঠাল খেলে হজমের সমস্যা হতে পারে। কাঁঠাল খেলে পেটব্যথা হজমের
সমস্যা থেকে শুরু করে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া কোষ্ঠকা হতে পারে। তাই
সিজারের পরবর্তী সময় ডাক্তাররা কাঁঠাল খেতে নিষেধ করেন।
সিজারের কতদিন পর ভারী কাজ করা যায়
সিজারের পর তিন মাস কোন ভারী কাজ করা যাবে না। দেড় মাস পর থেকে হালকা পাতলা কাজ
অর্থাৎ স্বাভাবিক কাজকর্ম করা যেতে পারে। কিন্তু তিন মাস পর্যন্ত কোন ভারী কাজ
করা যাবে না। এমনকি ওজন কমানোর জন্য ভারী কোন ব্যায়াম ছয় মাসের আগে করতে
পারবেনা। তবে তিন মাস পর থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে সে হালকা কিছু ব্যায়াম
করতে পারে।
সিজারের পর কি কি খাওয়া যাবে না
সিজারের পর সবসময় এরকম খাবার খাওয়া উচিত যাতে শরীরে প্রোটিন বেশি থাকে। কারণ
ব্রেস্ট ফিডিং করানোর কারণে শরীরে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। সিজারের
পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত পানি পান করতে হবে। এছাড়া আঁশ সমৃদ্ধ ফল মূল বেশি খেতে
হবে।
রাফেজ বা আর সমৃদ্ধ ফল মূল বেশি বেশি খেলে খাবার হজমে সাহায্য করে। এই সময়
কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এরকম খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ সিজারের পর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে
পেটে চাপ পড়তে পারে। যার ফলে সেলাই খুলে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় যা
প্রাণঘাতী হতে পারে।
ফাস্টফুট টাইপ খাবারের সময় এড়িয়ে চলা উচিত। এছাড়া চা কফি ইত্যাদি না খাওয়া
উচিত। পানীয় জাতীয় খাবার হিসেবে শুধুমাত্র দুধ, সুপ এবং ফলের রস খেতে হবে।
এলকোহল জাতীয় কোন পানীয় পান করা যাবে না। এছাড়া আপনার যে সকল খাবারে এলার্জির
সমস্যা আছে সেই খাবারগুলো না খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
সিজারের পর গরুর মাংস খাওয়া যাবে
সিজারিয়ান পেশেন্টের শরীরে প্রচুর পুষ্টির প্রয়োজন হয়। ব্রেস্ট ফিডিং করানোর
কারণে মায়ের শরীরে প্রচুর প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। এজন্য ডাক্তাররা রোগীকে দুধ,
ডিম, মাংস সহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
প্রোটিনের জন্য গরুর মাংসের থেকে ভালো সোর্স আর হতে পারে না।
একজন সিজারিয়ান পেশেন্টের জন্য গরুর মাংস অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাবার।
কিন্তু গরুর মাংস খাওয়ালে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। আর
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হবে। ডাক্তাররা সব সময় পরামর্শ দিয়ে
থাকেন সিজারের পর এরকম খাবার খাওয়া যাবে না যাতে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাই
সিজারের পর গরুর মাংস এড়িয়ে চলা উচিত।
সিজারের কতদিন পর দুধ খাওয়া যায়
সিজারের পর গরুর দুধ খেতে কোন ধরনের বাধা নেই। আপনি সিজারের পর অন্যান্য
স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত গরুর দুধ খেতে পারবেন। আমাদের সমাজে একটি
ভ্রান্ত ধারণা আছে যে সিজারের পর দুধ খেলে কাটা সাদা হয়ে যেতে পারে অথবা ঘা
শুকাই না।
বৈজ্ঞানিকভাবে এটির কোন ভিত্তি নেই। এটি শুধুমাত্র মানুষের কল্পনা প্রসূত একটি
ধারণা। তাই আপনি স্বাভাবিকভাবেই সিজারের পর থেকেই দুধ খেতে পারে। তো আপনাকে
অবশ্যই দুধ ফুটিয়ে পান করতে হবে অথবা পাসতুরী তো দুধ পান করতে পারেন।
সিজারের পর শোয়ার নিয়ম
সিজারের পর শোয়ার ক্ষেত্রে বাম দিকে কাত হয়ে বালিশ চেপে শুতে হবে। যাতে আপনার
পেটের কাটা জায়গায় চাপ না পড়ে। প্রায় ছয় মাস এভাবে বাম দিকে কাত হয়ে শুতে
হবে। তা না হলে ব্যান্ডেজ এরিয়ায় আঘাত লাগবে। এক সাইডে কাত হয়ে বালিশ চেপে
শুয়ে থাকতে হবে।
কোন কারনে যদি ব্যান্ডেজ এরিয়ায় আঘাত লাগে তবে তা থেকে রক্তক্ষরণ থেকে শুরু করে
অনেক জটিল বিষয় সৃষ্টি হতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম হতে হবে এ সময়। তা না হলে মন
ভালো থাকবে না। শিশুর যত্ন নিতে পারবেন না। শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার জন্যও
পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন।
সিজারের পর বেল্ট পরার নিয়ম
সিজারের পর ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এই বেড়ে যাওয়া ওজন কমানোর অন্য কোন
উপায় নেই। কারণ সিজারের পর ছয় মাস কোন ভারী ব্যায়াম করা যাবে না যাতে ওজন
কমানো যেতে পারে। তাই সিজারের পর বেল্ট ব্যবহার করার মাধ্যমে ওজন কমানোর চেষ্টা
করে থাকে অনেকেই।
কিন্তু বেল্ট পড়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। সিজারের পর ইনফেকশন হলে
বেল্ট পড়া যাবে না। বেল্ট টাইট করে পড়ে থাকলে হার্নিয়া বা ইন্টার্নাল ব্লিডিং
হয় অনেক সময়। আর গরমের সময় বেশিক্ষণ বেল্ট ব্যবহার করলে সেই স্থানে ঘামার ফলে
ইনফেকশন হতে পারে।
প্রসবের সময় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বেল্ট ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়াও
বেল্ট ব্যবহার করার সময় কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
- আপনাকে আপনার জন্য সঠিক সাইজের বেল্ট ব্যবহার করতে হবে।
- বেল্ট এমনভাবে পড়তে হবে যাতে এটি খুব শক্ত বা আলগা না হয়।
- খাওয়ার আধা ঘন্টা পর বেল্ট পড়তে হবে।
- গোসল বা অন্য কোন কারণে বেল্ট ভিজে গেলে বেল্ট চেঞ্জ করতে হবে। কখনোই ভেজা বেল্ট পরা যাবে না।
সিজারের পর বেল্ট পরলে কি হয়
সিজারের পর বেল্ট ব্যবহার করা অনেক বেশি সুবিধাজনক। সিজারের পর বেল্ট ব্যবহার
করলে হাঁচি, কাশি, টয়লেট ব্যবহার করা ইত্যাদি করার সময় পেটের ওপর চাপ পড়ে না।
সিজারের পর বেল্ট ব্যবহার করলে হাঁটতে সুবিধা হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক
সিজারের পর বের করলে কি হয়।
- বেল্ট পেটের চারপাশে আরামদায়ক ও টাইট একটি বন্ধন হিসেবে কাজ করে। হালকা প্রেসারের কারণে পেটের থলথলে ভাব কমে যায়।
- বেল্ট ব্যবহার করলে সদ্যজাত শিশুকে কোলে নিতে, নাড়াচাড়া করতে, দুধ খাওয়াতে সুবিধা হয় এবং ব্যথা কম হয়।
- সিজারের পর যদি নিয়মিত বেল্ট পরা হয়, তাহলে প্রথম ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে জরায়ু পূর্বাবস্থায় ফিরে চলে আসে।
- কোমরের ব্যথা উপশম হয়।
সিজারের পর কতদিন বেল্ট পরতে হয়
সিজারের পর মায়েরা যদি সঠিকভাবে ব্রেড ব্যবহার করতে না পারে তবে ইনফেকশন হতে
পারে। সিজারের পর চিকিৎসকরা মাকে বেল্ট ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। নরমাল
ডেলিভারির ক্ষেত্রে বাচ্চা হওয়ার একদিন পর থেকেই বেল্ট পরা যায়।
কিন্তু সিজারিয়ান ডেলিভারির ক্ষেত্রে সেলাই শুকানোর আগ পর্যন্ত বেল্ট ব্যবহার
করা যাবে না। অবশ্যই সেলাই শুকানোর পর বেল্ট ব্যবহার শুরু করতে হবে। প্রতিদিন ১০
থেকে ১২ ঘন্টা বেল্ট ব্যবহার করতে হবে। বেল্ট ব্যবহার কমপক্ষে ৪০ দিন করতে হবে।
সিজার সম্পর্কে কিছু সাধারণ প্রশ্ন?
প্রশ্ন: সিজার করার পর কি কি খাবার খাওয়া যায়?
উত্তর: সিজারের পর ভিটামিন সি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে
হবে।
প্রশ্ন: সিজারের পর কত দিন বেল্ট পরতে হয়?
উত্তর: সিজারের পর ৪০ দিন বেল্ট পরতে হয়।
প্রশ্ন: সিজারের কতদিন পর খাওয়া উচিত?
উত্তর: সিজারের পর অ্যনাস্থেশিয়ার প্রভাব শেষ হলে খাবার খাওয়া যায়।
প্রশ্ন: সিজার করার কত দিন পর সহবাস করা যায়?
উত্তর: সিজার করার পর 45 দিন সহবাস করা যাবে না।
প্রশ্ন: সিজারের পর হাসপাতালে যাওয়ার পোশাক?
উত্তর: সিজারের পর হাসপাতালে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা ও আরামদায়ক পোশাক
পড়া উচিত।
প্রশ্ন: সিজার করা হয় কেন?
উত্তর: গর্ভাবস্থায় বা প্রসবের সময় কোন জটিলতা সৃষ্টি হলে মা ও বাচ্চাকে
বাঁচানোর জন্য সিজার করা হয়।
প্রশ্ন: সিজারের পর কোন ফল খাওয়া যাবে না?
উত্তর: সিজারের পর কাঁঠাল খাওয়া যাবেনা।
প্রশ্ন: সিজারের পর বেল্ট পড়লে কি হয়?
উত্তর: সিজারের পর পেটের মেদ কমানোর জন্য বেল্ট পরা হয়।
শেষ কথাঃ
আজকের আর্টিকালের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম সিজারের পর খাবারের তালিকা কেমন
হওয়া উচিত। এ সময় কিভাবে চলাফেরা করা উচিত তাও জানা গেল আজকের আর্টিকেলের
মাধ্যমে। এ সকল বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে। এ সকল বিষয়গুলো মেনে চললে সিজার
পরবর্তী জটিলতা এড়িয়ে চলা সম্ভব।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এগুলো জানেন না, ফলে অনেক ধরনের জটিলতার সম্মুখীন
হয়ে থাকেন। আমাদের উচিত নিজে জানা এবং অন্যকে জানতে আগ্রহী করা। আপনার পরিচিতদের
মাঝে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন এবং তাদের সিজার পরবর্তী সময়ের জটিলতা এড়িয়ে চলতে
সাহায্য করুন। এতক্ষণ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আবার এ ধরনের নতুন একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের সামনে
হাজির হবো।
আপনারা যাতে খুব সহজেই এক জায়গায় আপনাদের সব প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পান তার
চেষ্টা করবো আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে। আপনাদের পরিশ্রম লাঘব করাই আমাদের মূল
লক্ষ্য। ততক্ষণ পর্যন্ত সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, আর আমাদের ওয়েবসাইটের সাথেই
থাকুন।
Comment in accordance with Help Crown's Privacy Policy. Every comment is reviewed.
Help Crown - গোপনীয়তা নীতি অনুসারে মন্তব্য করুন। প্রতিটি মন্তব্য পর্যালোচনা করা হয়.
comment url