ফোড়া কেন হয় - পাছায় ফোড়া হলে করণীয় কি

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা আলোচনা করব ফোড়া সম্পর্কে। থোরা কেন হয় এবং পাছায় ফোড়া হলে করণীয় এই সম্পর্কে জানতে পারবে না আজকে। অনেকে আছেন যারা সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে ফোড়ার রোগ থেকে বাঁচেন না।

তাই আজকে আমরা আলোচনা করব খোড়া কেন হয় এবং পাছায় ফোড়া হলে করণীয়। আশা করছি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। নিচে ফোড়া সম্পর্কে সকল প্রকার ধারণা দেওয়া হলো। ফোড়া সম্পর্কে যত ধরনের তথ্য আছে সবগুলো তথ্যই এই আর্টিকেলটিতে পাবেন।

পেজ সূচি পত্র:

  1. ফোড়া কেন হয়?
  2. ফোড়া হলে কি ঔষধ খাবো?
  3. ফোড়া পাকানোর মলম
  4. ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট
  5. ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায়
  6. বিষ ফোড়া হলে কি করণীয়
  7. পাছায় ফোড়া হলে করণীয়
  8. ফোড়া হওয়ার কারণ কি?
  9. ফোড়া কত প্রকার ও কি কি?
  10. ফোড়া হলে কি করব?
  11. দাঁত তোলার পর ফোড়া হলে কি হয় ?
  12. কোমরে ফোঁড়ার চিকিৎসা কিভাবে করবেন?
  13. ইনজেকশন ফোড়া হলে কোন এন্টিবায়োটিক ভালো? 
  14. মুখে ছোট ছোট ফোড়া কেন হয়?
  15. শেষ কথা

ফোড়া কেন হয়?

ফোঁড়া একটি ত্বক জনিত সমস্যা। এটি মূলত আমাদের শরীরের যেকোন স্থানে, ত্বকের চুলের গোঁড়ায় স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। ফোড়া হলো আমাদের ত্বকের ওপর হওয়া ওঠা ছোট, শক্ত ও লাল পিণ্ড বিশিষ্ট কিছু যার মুখটি হলুদাভ-সাদা বর্ণ এর হয়ে থাকে।

আমাদের ত্বকে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু আক্রান্তের কারণে ফোড়া হয়ে থাকে। ফোড়া হওয়ার এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি ঠিক হয়ে যায়। ফোড়া হলে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা হয়। ফোড়া হওয়ার অন্যতম আরেকটি কারণ হলো দেহের পুষ্টি ঘাটতি এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে থাকা এবং অপরিচ্ছন্ন পোশাক পরা। এখন কথা হল ফোড়া হলে কি ওষুধ খেতে হবে বা খাব? নিচে এই সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

ফোড়া হলে কি ঔষধ খাবো?

ফোড়া নিরাময়ের জন্য অনেক ওষুধ আছে। তার মধ্যে অন্যতম ওষুধের নাম আমরা এখন বলবো।ফোড়া হলে যেই ওষুধটি খাব তা নিচে দেওয়া হলঃ
  • বেলেডোনা। 
প্রথমে ফোড়া হওয়ার স্থানটি সুন্দর করে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে এই ওষুধটি ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে অবশ্যই এখানে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে না হলে আপনার তক পুড়ে যেতে পারে। নিচে ফোড়া পাকানোর মলম সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

ফোড়া পাকানোর মলম

ফোড়া পাকানোর কার্যকারী মলম হলোঃ ভিওডাইন ৫% মলম (Viodine 5% Ointment)। ভিওডাইন ৫% মলম তিনবার ব্যবহার। এটি ব্যবহারে খুব সহজেই নিরাময় হয়ে যাবে। এটি ব্যবহারের বিষয়গুলো মনে রাখতে হবেঃ 
  • আক্রান্ত স্থান ভালোভাবে কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
  • পরিষ্কার কাপড় তো পরিষ্কার করতে হবে।
  • তারপর আপনি মলম কিভাবে করতে পারেন।

ফোড়া পাকানোর ট্যাবলেট

ফোড়ার ব্যথা না সহ্য করতে পারার কারণে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট গ্রহণ করে থাকে। কিছু ট্যাবলেট এর তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ
  • Flucloxocillin- 250\500mg
  • Cephradine- 250\500mg
  • Cefixime- 200mg
  • Doxin- 100mg
  • Levofloxacin- 500mg
উপরে উল্লেখিত (Doxin-100mg ও Levofloxacin-500mg) ট্যাবলেট গুলো দ্রুত কাজ করে। এগুলোর মূল্যও অনেক কম। কিন্তু আপনার এই ট্যাবলেট গুলো ব্যবহার করা উচিত হবে না। কারণ ফোড়া হওয়ার এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে এটি নিরাময় হয়ে যায়। আর যদি আপনি ব্যথা সহ্য করতে না পারেন তাহলে এই ওষুধগুলো ব্যবহার করতে পারেন। নিচে কিছু ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় দেওয়া হল।

ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায়

শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোড়া হয়। অনেক সময় ফোড়া পাকতে চাই না। আর প্রচুর পরিমাণে যন্ত্রণা করে। আর এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিচে কিছু ফোড়া পাকানোর ঘরোয়া উপায় দেওয়া হলোঃ

বেউড়-বাঁশের কাটাঃ বেউড়-বাঁশের কাটা পাটায় বেটে শরীরের লাগালে ফোড়া পেকে যায়।

মসুর ডালঃ ফোড়া পেকে গেলেও অনেক সময় এটি ফাটে না। ফোঁড়াকে ফেটে পুশ বের করার জন্য মসুর ডাল পাটায় বেটে হালকা গরম করে সেই স্থানে লাগালে ফোঁড়া ফেটে যাবে।

তিলের তেল ও নিসিন্দা পাতাঃ আবার তিলের তেলের সাথে নিশিন্দা পাতার রস মিশিয়ে সেই স্থানে লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ফোঁড়া ফেটে যাবে।

পান পাতাঃ পানের পাতার সোজা পিঠে পুরাতন ঘি মিশিয়ে নিতে হবে তারপর সেটি ফোড়ার উপর দিলে ফোড়া পাকে ও ফাটে। আবার সেই পাতার উল্টোপিঠ ফোড়ার উপর লাগিয়ে দিলে ওটা ফোড়ার ভিতর থেকে পুজ বের করে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। অবশ্যই পাতাটা একটু গরম রাখতে হবে।

অর্জুন পাতাঃ অর্জুনের পাতার রস দিলে ফোঁড়া তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় এবং ফোড়ার ওপর সেটি দিলে ফোড়া ফেটে যায়।

ধুতরার পাতাঃ ধুতরার পাতার সাথে পরিমাণ ঘি মিশিয়ে ফোড়ার উপর দিলে ফোড়া ফেটে যাবে।

রসুনঃ আপনি যদি রসুন পাঠায় বেটে ফোড়ার ওপর লাগান তাহলে ফোড়া খুব সহজেই ফেটে যাবে।

নিম পাতাঃ নিম পাতার রস ফোড়ার উপর ব্যবহার করলে সেখান থেকে ব্যাকটেরিয়া গুলো মারা যাবে। এবং ধীরে ধীরে ফোড়া পেকে যাবে। অবশ্যই আপনাকে একটু গরম করতে হবে নিমের রস।

পেঁয়াজের রসঃ  ফোড়া পাকাতে পেঁয়াজের রস সাহায্য করে। আপনি যদি পেঁয়াজের রস হালকা গরম করে ফোড়ার ওপর ব্যবহার করেন তাহলে আপনার পড়া খুব সহজেই পেকে যাবে।

পোড়া হলুদের ছাইঃ পানির সাথে পোড়া হলুদের ছাই মিশিয়ে সেই দ্রবণটি খোলার উপর দিলে ফোঁড়া ফেটে যাবে।

বিষ ফোড়া হলে কি করণীয়

স্টাফাইলোকক্কাস অরিয়াস ব্যাকটেরিয়ার কারণে দেহে যে সকল ফোড়া হয় সেই সকল ফোড়া প্রচুর ব্যথা সৃষ্টি করে। এই ফোঁড়া গুলো অনেক বড় আকারের হয়। এই ফোরাগুলো কিছু জায়গায় বেশী দেখা দেয় যেমনঃ বগলে, পায়ে, পিছনে। এই পোড়া গুলোর চারিদিকে লাল ভাব দেখা দেয় এবং মাথার উপরেও কিছু পুচ দেখা দেয়। বিষ ফোড়া হলে কি করণীয়,
  • আপনাকে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে
  • মলম ব্যবহার করতে হবে
  • জীবাণুন আসুক তরল ব্যবহার করতে হবে
  • ব্যথা দূর করার জন্য হালকা গরম পানি ব্যবহার করতে হবে 
  • ফোঁড়া গালানোর চেষ্টা করা যাবে না। এক থেকে দুই সপ্তাহ পর নিজে থেকে ঠিক হয়ে যাবে।

পাছায় ফোড়া হলে করণীয়

ফোড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে হতে পারে। অনেক সময় আমাদের পাছায় ফোড়া হয়। লজ্জার কারণে আমরা এই পরিস্থিতি চিকিৎসককে জানাতে পারি না। যার কারণে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করে।
আমরা যদি সঠিক পদ্ধতিটি না জানি তাহলে এটি নিরাময় করতে পারবো না। পাছায় ফোড়া হলে কি করবেন সেটি নিচে বলা হয়ঃ
  • বাছাই ফোড়া হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটিকে কেটে পুজ গুলো বের করে নিতে হবে।
  • তারপর ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত ড্রেসিং করতে হবে।
  • তারপর কিছু অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথা নাশক ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। এটার অপারেশন না করে ক্যাপসুল ফাইক্লক্স ৫০০ মিলিগ্রাম ঔষধটি খেলে আপনি ঠিক হতে পারেন। অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

ফোড়া হওয়ার কারণ কি?

ফোড়া এমন একটি রোগ যেটি আমাদের শরীরের যেকোনো জায়গায় হতে পারে, যেমন মুখমন্ডল, মাথায়, কোমরে, বগলের নিচে, মুখে, কানের ভিতর, গোপনা*ঙ্গে, পাছায় ইত্যাদি। ফোড়া একটি সাধারণ রোগ হলেও। যথাযথ চিকিৎসার না নিলে এটি বড় আকার ধারণ করতে পারে। তাই এটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। নিচে কিছু ফোড়া হওয়ার কারণ উল্লেখ করা হলো।
  • ফোড়া হওয়ার মূল কারণ হলো বিভিন্ন প্রকার ব্যাকটেরিয়া। যখন কোন ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক, ভাইরাস দেহে প্যারাসাইট দ্বারা সৃষ্ট কোন ধরনের ইনফেকশন সৃষ্টি করে থাকে তখনই ফোড়া হয়।
  • যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের শরীরে এটি হয়ে থাকে।
  • ডায়াবেটিস, কেমোথেরাপি, এইডস, ক্যান্সার আক্রান্ত ইত্যাদি অথবা নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করার কারণেও ফোড়া হয়ে থাকে।
  • মানুষের শরীরে যদি কোন ধরনের অটোইমিউন রোগ থাকে তাহলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোড়া হয়। অপরিষ্কার কাপড় এবং শরীরে বিভিন্ন স্থানে অপরিষ্কার করে রাখলে সেখানে পড়া হতে পারে।
  • শরীর মাত্রা অতিরিক্ত ঘামলে ফোড়া হতে পারে।

ফোড়া কত প্রকার ও কি কি?

ফোড়া অনেক প্রকার হতে পারে। কিন্তু মানুষের দেহে প্রচলিত ফোড়া চার প্রকার। ফোড়া সমূহ এর বিবরণ সহ নিচে দেওয়া হলঃ
  1. বিষফোড়া
  2. লোম ফোড়া
  3. গাড় ফোড়া
  4. বাগী ফোড়া
বিষফোড়াঃ বিষফোঁড়া হল তীব্র যন্ত্রণাদায়ক এক ধরনের ফোড়া। যা ত্বকের সাধারণত স্টাফালোলোকোক্কাস ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সংক্রামিত হয়ে বিশাল আকার ধারণ করে । এই পড়াগুলোর মুখ অনেক ছোট হয় এবং এরা তীব্র ব্যথা সৃষ্টি করে।

লোম ফোড়াঃ ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশনের কারণে লোম ফোড়া হয়ে থাকে। এই ফোরাগুলা আমাদের দেহের লোম এর মাঝে হয়ে থাকে। এই ফোঁড়া গুলোর মধ্যে বিষ ফোঁড়ার মতো ব্যথা সৃষ্টি করে না।

গাড় ফোড়াঃ গাড় ফোড়া হলো এমন একটি ফোড়া যেটি ছোট ছোট মুখ নিয়ে জন্মায় এবং পরবর্তীতে বড় আকার ধারণ করে। এই ফোঁড়ার ভিতরে অনেক পুশ থাকে।

বাগী ফোড়াঃ বাগি ফোড়া হলো এমন একটি ফোঁড়া যে ফোড়া ৫ থেকে সাত মুখ নিয়ে জন্মায় এবং বড় আকার ধারণ করে। একেই বাঘী ফোড়া বলে।

ফোড়া হলে কি করব?

শরীরের কোন স্থানে যদি হঠাৎ করে ফুলে যায় এবং ব্যথা সৃষ্টি করে তখন আমরা একে ফোড়া বলি। ফোড়া আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হতে পারে। সাধারণত ফোড়া আমাদের শরীরের অপরিভাকে অর্থাৎ তর্কের ওপরে হয়ে থাকে। এছাড়াও কখনো কখনো ত্বকের ভেতরেও দেখা দেয়।

আমাদের শরীরের এমন জায়গা আছে যেখানে ফোড়া হলে অনেক যন্ত্রণা হয় যেমনঃ দাঁতের গোড়া, মলদ্বারের আশেপাশে, টনসিল ইত্যাদি। ফোড়া হলে কি করবে সম্পূর্ণ বলে দেওয়া হলো।
  • ফোড়া হলে সুতির জামাকাপড় পড়তে হবে।
  • নিয়মিত গোসল করা লাগবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পড়তে হবে।
  • ফোড়া হলে সাবান ব্যবহার করা যাবে না সেই স্থানে।
  • গোসল করার সময় কুসুম গরম পানিতে নিমের পাতার রস মিশিয়ে গোসল করতে হবে। আপনি ডেটল তরল ব্যবহার করতে পারেন।
  • অতিরিক্ত ঘামার ফলে ফোড়া হয়ে থাকে তাই আপনাকে ঠান্ডাযুক্ত স্থানে থাকতে হবে।
  • আপনি পেঁয়াজের রস ব্যবহার করতে পারেন। কারণ পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে কিছু  ব্যথা কমে।
  • আপনার শরীরের যে স্থানে ফোড়া হয়েছে সেখানে সবসময় খোলা রাখতে হবে, ঘামতে দেওয়া যাবে না।
  • ফোড়া হলে জীবাণুন নাশক মলম ব্যবহার করতে হবে এবং পরিষ্কার কাপড় পড়তে হবে ইত্যাদি।
সবচাইতে ভালো হয় যদি আপনার শরীরে যে স্থানে ফোড়া হয়েছে সে স্থানে কেটে ফোঁড়ার পুচ বের করে নিলে। এবং নিয়মিত ড্রেসিং করলে এটি ঠিক হয়ে যাবে। তার পাশাপাশি আপনি অ্যান্টিবায়োটিক বা ব্যথা নাশক ঔষধ ব্যবহার করতে পারেন।

আর যদি ফোড়া কিছুদিন হয়েছে মাত্র শুরু হয়েছে তাহলে অ্যান্টিবায়োটিক খেলেই সেরে যাবে। যে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে সেটি হল ক্যাপসুল ফাইক্লক্স ৫০০ মিলিগ্রাম।এটিই খেলে সাত দিনের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে। দিনে তিনবার করে সাতদিন খেতে হবে।

দাঁত তোলার পর ফোড়া হলে কি হয় ?

দাঁত তোলার পর আমাদের দাঁতের পাশে ফোড়া দেখা যায়। দাঁতের ওইখানে ফোড়া হলে দাঁতের ওখানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে এটি ইনফেকশন আর সৃষ্টি হয়। তাই প্রথমত আপনাকে ডাক্তারের কাছে যে চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তারপর ডাক্তার যে সকল ওষুধ লিখে দিবে সেইগুলো নিয়মিত খেতে হবে। আশা করা যায় এক থেকে দুই মাসের মধ্যে আপনার দাঁতের ফোড়াটি ঠিক হয়ে যাবে।

কোমরে ফোঁড়ার চিকিৎসা কিভাবে করবেন?

ফোড়া সাধারণত শরীরে যে কোন স্থানে হতে পারে। এটি একটি ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগ। যে সকল জায়গায় ফোড়া হতে পারে যেমনঃ বগলের নিচে, মাথায়, মুখে, কানের ভিতর, পাছায়, কোমরে, কুঁচকিতে এছাড়াও ত্বকের উপরে ও ভিতরেও ইত্যাদি। কোমরে ফোড়া ওঠার কারণে আমাদের উঠতে বসতে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে করণীয় হলোঃ
আরো পড়ুনঃ
সে ক্ষেত্রে আপনি বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে পারেন। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তারপরও যদি এটি ঠিক না হয় তাহলে। ফোড়াটি কাটার মাধ্যমে পুচ গুলো বের করে দিয়ে এটি সমাধান করতে হবে। তারপর নিয়মিত ড্রেসিং করতে হবে। আশা করা যায় এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করলে আপনার কোমরে ফোঁড়ার সমাধান হবে।

ইনজেকশন ফোড়া হলে কোন এন্টিবায়োটিক ভালো?

ইনজেকশন ফোড়া হলে ট্রাইমেথোপ্রিম-সালফামেথক্সাজোল, ডক্সিসাইক্লিন বা মিনোসাইক্লিন (গ্রেড 2C) এন্টিবায়োটিক গুলো ভালো। তবে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত এই সকল ওষুধ খেতে হবে। এছাড়াও বাজারে অনেক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলো সেবনের উপদেশ আমি দিব না আপনাকে।
আরো পড়ুনঃ
কারণ সেগুলো খেলে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনি একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন সেটি হল, যেকোনো ডাক্তারের কাছে যেয়ে পরামর্শ নিতে পারেন যে আমার কাঙ্খিত ওষুধটি খাওয়া ঠিক হবে কিনা। কোন ডাক্তার যদি আপনাকে উপদেশ দেয় তাহলে আপনি ওষুধগুলো গ্রহণ করতে পারেন। এ সকল বিষয়ে অনেক সেনসিটিভ এর জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মুখে ছোট ছোট ফোড়া কেন হয়?

আপনি যদি আপনার মুখে ছোট ছোট ফুসকুড়ি লক্ষ্য করেন তাহলে এটি মূলত ফোড়া হতে পারে। এই ফোরাগুলো  সাধারণত আপনার চুলের ফলিকলে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের কারণে হয়। এটি হতে পারে আপনি যদি আপনার চোখ মুখ বা চুল নিয়মিত না ধন এবং অতিরিক্ত পরিমাণে ঘেমে যান তাহলে। কখনও কখনও, ফোড়া অ্যালার্জি, বাগ কামড় বা অন্যান্য ত্বকের সংক্রমণের কারণেও হতে পারে। মুখে বিভিন্ন ধরনের ব্রণ এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ কারনে মুখে ছোট ছোট ফোড়া দেখা দেয়।

শেষ কথা

এতক্ষণে হয়তো আপনি বুঝতে পেরেছেন ফোড়া কেন হয় - পাছায় ফোড়া হলে করণীয়। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে কিছু হলেও উপকারিতা পান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। এরকম আরো তথ্যবহুল আর্টিকেল পেতে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ধন্যবাদ। আর্টিকেলটি লিখেছেন, [মাহামুদুল হাসান জিহাদ]

Share this post (এই পোস্ট শেয়ার করুন)

See previous post (আগের পোস্ট দেখুন) See next post (পরবর্তী পোস্ট দেখুন)
No one has commented on this post yet (কেউ এখনও এই পোস্টে মন্তব্য করেনি)
Click here to comment (মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন)

Comment in accordance with Help Crown's Privacy Policy. Every comment is reviewed.

Help Crown - গোপনীয়তা নীতি অনুসারে মন্তব্য করুন। প্রতিটি মন্তব্য পর্যালোচনা করা হয়.

comment url