প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন করুন নতুন নিয়মে ২০২৪
বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর একটি বৃহৎ সংখ্যক মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রবাস
গমনকে বেছে নেন। তাই বিভিন্ন কারণে প্রবাসীদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন
প্রয়োজন হয়। আজকে আমরা এই আর্টিকেলটিতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন
সম্পর্কে।
আশা করছি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত
পড়েন তাহলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন সম্পর্কে ধারণা পাবেন। নিচে
বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য প্রথম আপনার নির্দিষ্ট একটি শাখায় কে
ফর্ম পূরণ করতে হবে। প্রথমত আপনার প্রয়োজন হবে একটি সেভিংস একাউন্ট। কারণ
কোন একাউন্ট ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রদান করেনা।
সেভিংস একাউন্ট থাকলে সেই একাউন্টের মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রদান
করে থাকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে যে ফর্ম দেওয়া হবে এটি পূরণ করার মাধ্যমে
আপনি আপনার আবেদনটি সফলভাবে করতে পারবেন।
আবেদনটি করার পর সেই শাখার কর্মরত ম্যানেজার যাচাই-বাছাই করে আপনাকে লোন
প্রদান করবে। তার যদি সব ডকুমেন্ট এবং তথ্য সঠিক হয় তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাবেন। এক্ষেত্রে আপনার সকল ধরনের তথ্য এবং
অরজিনাল ডকুমেন্ট দিতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন ফরম
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনের আবেদনের ফরম আপনি ঘরে বসেই পূরণ করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আপনার কোন প্রকার ঝামেলা বা বিভ্রান্তির সম্মুখীন হতে হবে না। কিন্তু
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন ফরম এখনও চালু করেনি। অর্থাৎ তারা এখন
পর্যন্ত অনলাইনে বেতনের কোন প্রক্রিয়ায় রাখে নাই। আপনি যদি আবেদন করতে চান
তাহলে তাদের একটি নির্দিষ্ট শাখায় গিয়ে আবেদন করতে হবে। প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক লোনের আবেদন ফরম এর ছবি নিচে দেওয়া হল। আপনি যদি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
লোনের ফরমটি ডাউনলোড করতে চান তাহলে নিচের ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুন।
নিচের ফরম এর ছবি দেওয়া হল, প্রথম পৃষ্ঠাঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
লোন অনলাইন আবেদন ফরম কেমন হয় সেটার একটি ছবি এইটা। এখানে এটি প্রথম
পৃষ্ঠার ছবি।
দ্বিতীয় পৃষ্ঠাঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন ফরম কেমন
হয় সেটার একটি ছবি এইটা। এখানে এটি দ্বিতীয় পৃষ্ঠার ছবি।
তৃতীয় পৃষ্ঠাঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন ফরম কেমন
হয় সেটার একটি ছবি এইটা। এখানে এটি তৃতীয় পৃষ্ঠার ছবি।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা
সকল আবেদনকারীই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে পারেন না। প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক লোনের জন্য কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। অর্থাৎ সঠিক উপযোগীকে প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক লোন প্রদান করা হয়। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন পাওয়ার যোগ্যতা
নিচে দেওয়া হল-
- যে ব্যক্তি আবেদন করবে অর্থাৎ আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে এবং তার বয়স ১৮ বছর এর বেশি হতে হবে।
- আবেদনকারী যে শাখায় আবেদন করবে, তাকে অবশ্যই সেই এলাকার বাসিন্দা হতে হবে।
- অন্যকোনো ব্যাংক বা NGO এর সাথে ঋণ নিয়ে দুই নাম্বারি বা ধোকাবাজির ইতিহাস থাকা যাবে না।
- আবেদনকারীর সপক্ষে সর্বনিম্ন ২ জন জামিনদার থাকতে হবে এবং যে ব্যাক্তি ঋণ গ্রহণ করবে সেই ব্যক্তি, ঋণ পরিশোধে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হতে হবে।
- পুনর্বাসন ঋণ পাওয়ার জন্য ব্যবসায় বা প্রকল্পের ঠিকানা, উদ্দেশ্য সম্বলিত প্রতিবেদন জমা দেওয়া বাধ্যতামূল।
- অভিবাসন ঋণ পেতে আবেদনকারীর বিদেশে কাজের জন্য বৈধ ভিসা থাকতে হবে।
আপনি যদি ওপরের এই শর্তগুলো পূরণ করতে পারেন তাহলে আপনি প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন পাবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোনে কি কাগজপত্র লাগে
লোনের ধরন অনুযায়ী প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিতে আলাদা আলাদা কাগজপত্রের
প্রয়োজন হই। কিন্তু যেসব কাগজপত্র সব লোনের ক্ষেত্রেই আবশ্যক সেগুলো নিচে
দেওয়া হলঃ
- আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ভিসার দুই কপি ছবি।
- বিএমইটি কার্ডের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
- আবেদনকারীর বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ্য দলিল লাগবে।
- আবেদনকারীর সদ্যতোলা ৪ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রয়োজন হবে।
- দুই জন জামিনদার লাগবে। তার সাথে জামিনদারের এক কপি করে পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি ও স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা প্রমাণপত্র প্রয়োজন হবে।
- জামিনদারের সাক্ষরকৃত ৩টি বৈধ ব্যাংক চেক লাগবে।
- পুনর্বাসন ও বঙ্গবন্ধু অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি প্রয়োজন হবে।
- পুনর্বাসন ও বঙ্গবন্ধু অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য, ঠিকানা ও সর্বশেষ ১ বছরের আয়-ব্যয় বিবরণী সম্বলিত প্রতিনেদন প্রয়োজন হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নেওয়ার জন্য উপরের কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে
এছাড়াও এ সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য গ্রহণ করতে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ুন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন কি?
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন হলো বাংলাদেশ সরকারের এক বিশেষ ঋণ প্রদান ব্যাংক।
যার মাধ্যমে বিদেশ জাত্রি কর্মীদান বা বিদেশ থেকে ফেরত আসা কর্মীদের সহজ শর্তে
জামানত বিহীন ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। ২০১০ সালে, ১০০ কোটি টাকা প্রাথমিক
মূলধন নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সুরু হয়ে ছিল।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের ও প্রদান করে
থাকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রবাসীদেরকে লোন প্রদান করা।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন কত প্রকার
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিভিন্ন ধরণের ঋণ সুবিধা চালু থাকলেও। প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য প্রধানত ৪ প্রকার লোন দিয়ে থাকে। নিচে এই
চার প্রকার লোন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- অভিবাসন ঋণ
- পুনর্বাসন ঋণ
- বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
- বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ
১. অভিবাসন ঋণ
যে ব্যক্তিবর্গ বৈধ উপায়ে বিদেশ যেতে চায় এবং যারা কাজের জন্য ভিসা ও
পাসপোর্ট অনুমোদন পেয়েছেন তাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করা অভিবাসন ঋণ স্কিমের
প্রধান কাজ। উপযুক্ত ব্যক্তিদের, অভিবাসন ঋণ এর ক্ষেত্রে
সর্বোচ্চ ৩ বছর মেয়াদে ৩ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে।
২. পুনর্বাসন ঋণ
যাদের কাছে পর্যাপ্ত মূলধন নেই এবং বিদেশ থেকে ফিরে এসে নিজের জন্য দেশে একটি
কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চাই তাদেরকে মূলত পুনর্বাসন ঋণ দেওয়া হয়।
এক্ষেত্রে উপযুক্ত ব্যক্তিদের, জামানত বিহীন সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়।
আর জামানতের বিপরীতে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পেতে
পারে। পূর্ণবাসন ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ ১০ বছর হয়ে থাকে।
৩. বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ
বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক বৈধ ভিসায় কাজের জন্য বিদেশে গেলে তার আয়ের উপরে
নির্ভরশীল দেশে থাকা তার পরিবারের সদস্যদের জন্য অথবা সে দেশে ফিরলে তার জন্য
সহজ শর্তে যে ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে সাধারণত তাকেই বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ
পরিবার ঋণ বলে।
উপযুক্ত ব্যক্তিদের বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লোনের ক্ষেত্রে
জামানত ছাড়া সর্বোচ্চ ৩ লাখ টাকা এবং জামানত জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা
পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার লনের মেয়াদ
সর্বোচ্চ ১০ বছর।
৪. বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ
নতুন ঋণ ব্যবস্থা হিসেবে চালু হয়েছে বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ। ২০২০ সালের
করোনার সময় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ ব্যবস্থা
শুরু করে।
যে সকল প্রবাসী করোনার কারণে দেশে আসতে পারেনি এবং করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত
হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের পরিবারকে কর্মসংস্থান করে দেওয়ার
জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ ব্যবস্থা প্রদান
করা হয়েছিল।
বিশেষ পুনর্বাসন ঋণের ক্ষেত্রেও উপযুক্ত, ব্যক্তিবর্গ জামানতবিহীন তিন লক্ষ
টাকা তিন বছর মেয়াদী ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। এবং জামানত যুক্ত ঋণ পাবে
সর্বোচ্চ 50 লক্ষ টাকা। কিন্তু গ্রুপ ঋণের ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তি
পাবে পাঁচ লক্ষ টাকা অর্থাৎ পাঁচজন ব্যক্তি একত্রে নিলে ২৫ লক্ষ টাকা
পাবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুবিধা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন নিয়ম ২০২৪ সম্পর্কে জানার আগে এই ঋণের সুবিধাগুলো
জানা প্রয়োজন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন এর সুবিধা কি কি আছে তা
সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেওয়া যাক। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রকারভেদ
দেখে হয়তো বা বুঝতে পেরেছেন এর সুযোগ সুবিধা গুলো কি কি। প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক লোন সুবিধা গুলো হলো-
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে সহজ শর্তে দ্রুত ঋণ পাওয়া যায়।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের সুদের হার অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংকের তুলনায় অনেক কম।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের দুই ধরনের ঋণ পাওয়া যায়। একটি হলো জামানত বিহীন ঋণ সেবা পাওয়া যায় এবং আরেকটি হলো জামানত যুক্ত বড় অঙ্কের ঋণ পাওয়া যায়।
- প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কে ঋণ নিলে, ঋণের অর্থ পরিশোধের জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়। সে কারণে, ঋণ খেলাফি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
এছাড়াও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অন্যান্য সুবিধা সম্পর্কে জানতে চাইলে এই
আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন। আশা করছি সম্পন্ন আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটির মাধ্যমে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো যে আমাদের লোন
প্রয়োজন আছে কিনা।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার ৯%। কিন্তু, বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ নিলে
সুদের হার হবে ৪% এবং বঙ্গবন্ধু অভিবাসী বৃহৎ পরিবার ঋণ যদি মহিলা নিয়ে থাকে
থাহলে সুদের হার হবে ৭%।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত টাকা লোন দেয়
একজন ব্যক্তিকে জামান ছাড়া প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ৩ লাখ টাকা লোন দেয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকজামানতযুক্ত ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে।
তার সাথে, গ্রুপ লোনের ক্ষেত্রে প্রত্যেক একজন ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা
করে লোন দেয়। এবং মোট ৫ জনকে ২৫ লাখ টাকা লোন দেয়।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এটা কি সরকারি ব্যাংক?
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক হল বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংক। প্রবাসী
কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান কাজ হল প্রবাসীদের ঋণ প্দেরদান করা। প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক প্রবাসীদের জন্য হল এক বিশেষায়িত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। প্রবাসী কল্যাণ
ব্যাংক প্রবাসীদের ঋণ দেওয়ার কাজে মনোনীত থাকে।
আরো পড়ুনঃ
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কি?
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এখানে অর্থের সকল প্রকার
কার্যক্রম প্রতিনিয়ত চলতে থাকে। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত এটিকে গুরুত্বসহকারে
দেখা। কারণ একটি ব্যাংক থেকে আমরা সকল ধরনের অর্থ এবং টাকা সহযোগিতা পেয়ে থাকি।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কোথায় আছে এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক শাখার তালিকা
প্রিয় পাঠক, আপনি হয়তো বা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে চাচ্ছেন। কিন্তু
আপনি জানেন না যে আপনার এলাকায় কোথায় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা রয়েছে।
আপনি যদি জানতে চান প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখার তালিকা তাহলে শেষ পর্যন্ত
পরুন। নিচে বিভাগীয় প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সমূহের ঠিকানা বর্ণনা করা হলো।
ঢাকা বিভাগে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের শাখা সমূহঃ
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান শাখা এর ঠিকানা হলঃ প্রথমে আপনাদের
যেতে হবে, ৭২ পুরাতন এলিফ্যান্ট রোড,ইস্কাটন গার্ডেন ঢাকা ১০০০। তাহলেই পৌঁছে
যাবে
মোবাইল নাম্বার হলঃ 0170070 2700
ইমেইল ঠিকানা হলঃ email principalbranch@pkb.gov.bd
কাকরাইল শাখার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঠিকানাঃ প্রথমে আপনাদের
যেতে হবে, ৮৯/২ বিএমইটি ভবন,কাকরাইল, ঢাকা।তাহলেই পৌঁছে যাবে
মোবাইল নাম্বার হলঃ 01700702701
ইমেইল ঠিকানা হলঃ email pkb.ukrail@yahoo.com
টাঙ্গাইল শাখাঃ প্রথমে আপনাদের যেতে হবে, ইব্রাহিম ভিলা দ্বিতীয়
তলা হোল্ডিং নং ১১৮৭/১১৮৮ ঢাকা রোড, টাঙ্গাইল।তাহলেই পৌঁছে যাবে
মোবাইল নাম্বার হলঃ 01700 702 702
ইমেইল ঠিকানা হলঃ pkb.tangail@yahoo.com
মানিকগঞ্জ শাখাঃ প্রথমে আপনাদের যেতে হবে, বিসমিল্লা টাওয়ার
হোল্ডিং নং- ৭৯ শহীদ রফিক সড়ক ওয়ার্ড নং ০৬ মানিকগঞ্জ সদর, মানিকগঞ্জ।তাহলেই
পৌঁছে যাবে
মোবাইল নাম্বার হলঃ 01700 702 706
ইমেইল ঠিকানা হলঃ pkb.manikgonj@yahoo.com
মুন্সিগঞ্জ শাখার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঠিকানা হলোঃ প্রথমে
আপনাদের যেতে হবে, দ্বিতীয় তলা রাজিয়া হামিদ প্লাজা হোল্ডিং নং ৬০৭ সদর
হাসপাতাল রো, মুন্সিগঞ্জ সদর, মুন্সিগঞ্জ ।তাহলেই পৌঁছে যাবে
মোবাইল নাম্বার হলঃ 01700 702 704
ইমেইল ঠিকানা হলঃ pkb.munshiganj@gmail.com
নারায়ণগঞ্জ শাখার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঠিকানা হলঃ প্রথমে
আপনাদের যেতে হবে
৩৯/৪ কে এস টাওয়ার তৃতীয় তলা শায়েস্তা খান রোড তারপর পুরান কোর্ট,
তারপর নারায়ণগঞ্জ সদর, নারায়ণগঞ্জ।তাহলেই পৌঁছে যাবে
মোবাইল নাম্বার হলঃ 01700 702748
ইমেল ঠিকানা হলঃ pkb.narayanganj@gmail.com
শরীয়তপুর শাখাঃ প্রথমে আপনাদের যেতে হবে
হোল্ডিং নং ০৮৭৩ ভবন (দ্বিতীয় তলা) পালং বাজার, তারপর শরীয়তপুর, তাহলেই
পৌঁছে যাবে।
মোবাইল নাম্বার হলঃ 0170070 2711
ইমেল ঠিকানা হলঃ pkb.shariatpur@gmail.com
মাদারীপুর শাখার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঠিকানা হলোঃ প্রথমে আপনাদের যেতে হবে
লস্কর ভবন হোল্ডিং নং ৩১৬ প্রধান সড়ক মাদারীপুর তাহলেই পৌঁছে যাবে
মোবাইল নাম্বার হলঃ 01700 702 709
ইমেইল ঠিকানা হলঃ pkb.madaripur@gmail.com
কেরানীগঞ্জ শাখার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঠিকানা হলঃ প্রথমে
আপনাদের যেতে হবে পায়েল টাওয়ার জেতে হবে। এতি (দ্বিতীয় তলা) আটি বাজার বেবি
স্ট্যান্ড, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা তে অবস্থিত।
মোবাইল নাম্বার হলঃ 017 13 0 5 7 5 4 9
ইমেইল ঠিকানা হলঃ pkb.keraniganj@gmail.com
নরসিংদী শাখাঃ প্রথমে আপনাদের যেতে হবে টিটিসি
কমপ্লেক্স, শাসপুর, উপজেলাঃ শিবপুর, জেলাঃ নরসিংদী তাহলেই পৌঁছে যাবে
মোবাইল নাম্বার হলঃ 170070 2710
ইমেইল ঠিকানা হলঃ pkb.narsingdi@gmail.com
FAQs: প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সম্পর্কে সাধারণ প্রশ্ন
প্রশ্ন০১ঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের উদ্দেশ্য কি?
উত্তরঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মূল উদ্দেশ্য হলো প্রবাসীদেরকে লোন
প্রদান করা।
প্রশ্ন০২ঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে কত টাকা লোন দেয়?
উত্তরঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে জামানত বিহীন তিন লক্ষ টাকা এবং
জামানত সহ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন দিয়ে থাকে। এবং গ্রুপ লোনের জন্য
প্রত্যেক ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকা করে পায়।
প্রশ্ন০৩ঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত সালে গঠিত করা হয়?
উত্তরঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ২০১০ সালে গঠিত করা হয়।
প্রশ্ন০৪ঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক কত সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়?
উত্তরঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
প্রশ্ন০৫ঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে সুদের হার কত?
উত্তরঃ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন সুদের হার ৯%।
লেখকের শেষ কথা
আশা করি এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন অনলাইন
আবেদন সম্পর্কে জানে গেছেন। কারণ এই সম্পূর্ণ পোস্ট দিতে আমি প্রবাসী করলাম
ব্যাংক লোন অনলাইন আবেদন ছাড়াও আবেদন করতে কি কি প্রয়োজন এবং কত টাকা পাওয়া
যাবে ঋণ, সব ধরনের তথ্য কভার করার চেষ্টা করেছি।
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার এই পোস্টে যদি এতোটুকু ভালো
লেগে থাকে তাহলে আপনাদের বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন এবং নিচে কমেন্ট
করুন সেকশনে একটি কমেন্ট করে যাবেন। আর্টিকেলটি লিখেছেন, [মাহামুদুল হাসান জিহাদ]
Comment in accordance with Help Crown's Privacy Policy. Every comment is reviewed.
Help Crown - গোপনীয়তা নীতি অনুসারে মন্তব্য করুন। প্রতিটি মন্তব্য পর্যালোচনা করা হয়.
comment url