কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে-কম্বোডিয়া কাজের বেতন
কম্বোডিয়া কাজের বেতন-কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে কিছু কথা বলা যাবে তো হ্যালো বন্ধুগণ আশা করছি আপনারা সকলেই ভাল আছেন তো আপনাদের মাঝে একটু চমৎকার পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আজকেও আশা করছি এই পোস্টটি পড়ে আপনি খুবই উপকৃত হবেন তাই চলুন দেরি না করে পোস্টটি ঝটপট করে ফেলুন তাহলে আপনি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে যাবেন।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ কম্বোডিয়া জবের জন্য খুবই আগ্রহী এবং কি এর ভিসা প্রক্রিয়া ততটাও সহজ নয়। আসুন আমরা এই পোস্টের ভিতরে জেনে নেওয়া যাক কম্বোডিয়া কাজের বেতন সেই সম্পর্কে।
কম্বোডিয়া যেতে কত টাকা লাগে
আমরা বিগত দিনগুলোতে কম্বডিয়ার দেশ সম্পর্কে জেনেছিলাম এবং এদেশে কি কি কাজের ভিসা পাওয়া যায় কোন কাজে কত টাকা বেতন পাওয়া যায় এবং কম্বোডিয়াতে কি কি ব্যবসা করার সুযোগ রয়েছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে পেরেছিলাম আমরা আগের পোস্ট গুলোতে দেখেছি কম্বোডিয়া কাজ করতে আসলে কত টাকা বেতন পাওয়া যায়। এবং কম্বোডিয়া সব থেকে বেশি বেতনের
চাকরি হয়েছে অনলাইন কোম্পানিগুলোতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ করা এসব কাজের বেতন প্রায় প্রতি মাসে ৮০ হাজার টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। সুবিধা দেখে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দালাল এবং অফিস থেকে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় কর্মীদের কাছ থেকে নিয়ে কম্বোডিয়াতে প্রেরণ করেছে। সাধারণত কম্বোডিয়াতে এ সকল কাজের সাড়ে তিন লক্ষ থেকে সাড়ে চার
লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর্মী প্রেরণ করা হচ্ছে যার সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক অভিবাসন ব্যয় তাই আজকের পোস্টটিতে আমরা কথা বলবো কম্বোডিয়াতে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত উপায় কিভাবে আসতে হয় এবং কত টাকা খরচ হয়। পোস্টটিতে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখবেন বিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনারা পোস্টটিতে মধ্যে পেয়ে যাবেন। পোস্ট শুরুতেই আমরা বলে নিয়েছি আমরা বিদেশে
কর্মসংস্থান ও ব্যবসা তৈরি করার সুযোগ এবং ভিসার সকল খবর এই ওয়েবসাইট মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে কর্মীদের সুবিধার্থে ভিসা এবং খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব আজকের পোস্টটিতে কোন এজেন্সি বা কোন দালাল বা কোন অফিসের ক্ষতিসাধন করা আমাদের কোন উদ্দেশ্য নয় আমাদের উদ্দেশ্য কর্মীরা যেন সঠিক ন্যায্য অভিবাসন ব্যয়ের কম্বোডিয়া আসতে পারে। সে
সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া কম্বোডিয়াতে যেকোনো ধরনের কাজ করতে আসার জন্য প্রথমত আপনাকে কম্বোডিয়ান অ্যাম্বাসি থেকে ভিসা গ্রহণ করতে হবে বাংলাদেশে কোন কম্বোডিয়া এম্বাসি বা দূতাবাস নেই আমাদের নিকৃষ্ট দেশ ইন্ডিয়ার দিল্লিতে কম্বোডিয়াএম্বাসী রয়েছে এছাড়াও মালয়েশিয়া তে চায়নাতেই ভিয়েতনামে ইন্দোনেশিয়াতে ফিলিপাইনে অথবা পৃথিবীর যে কোন দেশে অবস্থিত এ্যাম্বাসি হতে সিঙ্গেল
এন্ট্রি ভিসা নিতে হবে এই ভিসার মেয়াদ তিন মাস অর্থাৎ ভিসা গ্রহণের তিন মাসের মধ্যে আপনাকে কম্বোডিয়াতে কমেন্ট করতে হবে এই ভিসা করতে আপনার সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার খরচ হবে এই ভিসাটি গ্রহণ করার পরে বাংলাদেশ সরকারের বিদেশগামী কর্মীদের জন্য যে সকল ট্রেনিং সেন্টার থেকে তিন দিনের ট্রেনিং গ্রহণ করে আপনাকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রদান করতে হবে। এ ট্রেনিং এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর
জন্য সরকার নির্ধারিত খরচ ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কিন্তু আমরা জানি বাংলাদেশের সরকারি অফিসে কখনোই নির্ধারিত মূল্যে কাজ করা যায় না এর কারণে আপনাকে ১৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারে এরপরে আপনার হয়ে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সি বিএমইটি থেকে ম্যানপাওয়ার কার্ড গ্রহণ করবে কার্ডের বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত মূল্য
সাড়ে চার হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে কিন্তু আবারও সরকারি কাজ নির্ধারিত মূল্যে করা আপনাদের পক্ষে সম্ভব হবে না এর কারণে আপনাকে 25 থেকে 35 হাজার টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে পারে এরপরে আপনাকে বিমানের টিকিট ক্রয় করতে হবে। আপনি যদি মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স বিমানের টিকিট ক্রয় করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে কম্বোডিয়া আসা এবং যারা দুইটি টিকেট
ক্রয় করতে হবে এর জন্য আপনাকে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে এবার আপনি বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়া কমানোর জন্য কম্পিউটার ইমিগ্রেশন থেকে এয়ারপোর্ট এডমিশন লেটার গ্রহণ করতে হবে এয়ারপোর্ট এডমিশন লেটার বর্তমানে অনেক দুষ্প্রাপ্য একটি বিষয় কারণ এয়ারপোর্টে অ্যাডমিশন লেটার নিয়োগ কোম্পানিকে যাচাই বাছাই সাপেক্ষে দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে
প্রদান করা হয়। এর বিকল্প উপায় হিসেবে কম্বোডিয়া এয়ারপোর্ট অতিরিক্ত টাকা প্রদান করে এয়ারপোর্টের মাধ্যমে এয়ারপোর্ট এডমিশন লেটারের বিষয় নিশ্চিত করতে হবে এটি করতে আপনাকে 800 থেকে 900 ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হবে এরপরে বাংলাদেশ থেকে আপনি কম্বোডি আসার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়াতে আসার পরে আপনাকে এক বছরের মাল্টিপল এন্ড
প্রিভিয়া করতে হবে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা করতে আপনাকে ৩৫০ ডলার থেকে ৪০০ ডলার পর্যন্ত খরচ করতে হবে এরপরেও আপনি কাজ করার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত নয় এখন আপনাকে কাজ করার জন্য এক বছরের ওয়ার্ক পারমিট কার্ড গ্রহণ করতে হবে। যেটির খরচ ২০০ থেকে ২৫০ ডলার পর্যন্ত এর বাইরেও আপনার দশ থেকে পনের হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়ে যাবে যেমন এম্বাসিতে
পাসপোর্ট আনা এবং নেয়ার জন্য ডিএইচএল এর খরচ এবং কম্বোডিয়াতে আসার পরে এয়ারপোর্ট থেকে আপনার গাড়ি ভাড়া এবং আরো আনুষঙ্গিক অনেক ছোট ছোট খরচ রয়েছে সবকিছু সহকারে একটি কর্মীর জন্য ২ লক্ষ ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা খরচ হয় এখন আপনি কোন অবস্থাতেই এই টাকার মধ্যে আসতে পারবেন না অবশ্যই আপনার এতগুলো কাজ করে দেয়ার জন্য সার্ভিস চার্জ গ্রহণ
করবে এর সঙ্গে তাদের সার্ভিস চার্জ যুক্ত হবেন। এখন কিছু কিছু কাজের ভিসার দাম 2 লক্ষ টাকা থেকে ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা হয়ে থাকে সেটি কেন আমি আপনাদেরকে বর্ণনা করার চেষ্টা করছি ধরুন আপনি যদি কম্বোডিয়াতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে আসতে চান আসার পরে কোম্পানি আপনাকে বিনামূল্যে ভিসা প্রদান করে থাকবে এবং এজেন্সি গুলোকে দিয়ে দিবে সে ক্ষেত্রে কম্বোডিয়া
আরো পড়ুনঃসেলফিন একাউন্ট এর সুবিধা
আসার পরে আপনার কিন্তু কোন খরচই হচ্ছে না এবং আপনার সার্ভিস চার্জ মূল কোম্পানির কাছ থেকে রিপ্রুটিং এজেন্সি পেয়ে যাচ্ছে সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে আমরা সুস্পষ্ট বুঝতে পারছি কম্বোডিয়াতে আসার জন্য অভিবাসন বা সর্বোচ্চ ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা থেকে তিন লক্ষ টাকার মধ্যে
স্বাভাবিক কিন্তু বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন এজেন্সির দালাল এবং বিভিন্ন মাধ্যমে সাড়ে তিন লক্ষ থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। বলছি আপনি পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন।
কম্বোডিয়া ভিসার দাম কত
কম্বোডিয়া সম্পর্কে সাধারণ কিছু তথ্য কম্বোডিয়া অবস্থান থাইল্যান্ড ভিয়েতনাম এবং লাউসের মাঝামাঝি বাংলাদেশ থেকে কম্বোডিয়াতে সরকার অনুমোদিতভাবে বিএমইটির ম্যানপাওয়ার কার্ড নিয়ে কর্মী আসতে শুরু করে ২০১৯ সাল থেকে কম্বোডিয়া একটি ডেভলপিং কান্ট্রি চায়না জাপান কানাডা ফ্রান্সের বিপুল পরিমাণে ইনভেস্টমেন্টে অত্যন্ত দ্রুতগতির সাথে উন্নত দেশে পরিণত হচ্ছে কম্বোডিয়া
বাংলা বড় একটি দেশ এত বড় দেশের জনসংখ্যার প্রচুর ঘাটতি রয়েছে কম্বোডিয়া জনসংখ্যা মাত্র দেড় কোটির কিছু বেশি বৈদেশিক বাণিজ্য যখন কম্বোডিয়াতে বেড়ে চলেছে তখন প্রচুর পরিমাণে কর্মীসল্পতা কম্বোডিয়াতে রয়েছে কম্বোডিয়া এর আশেপাশের দেশগুলো থেকে দক্ষ শ্রমিককে কাজ করার জন্য নিয়ে আসে কম্বোডিয়া পার্শ্ববর্তী দেশ ভিয়েতনাম লাউস ইন্ডিয়া পাকিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়ে
থাকে সারা বছরে গড় আবহাওয়া থাকে 27 থেকে 33 ডিগ্রী পর্যন্ত বেশি গরমও নয় ঠান্ডাও না কম্বোডিয়ার স্থানীয় মুদ্রার নাম খামের রিয়েল এখানে স্থানীয় মুদ্রার মান অনেক কম হওয়ার কারণে সরাসরি ডলার এখানে ব্যবহার করা হয় কম্বোডিয়াতে ব্যবহারকৃত এক মার্কিন ডলার সমান বাংলাদেশি প্রায় 91 হয় কম্বোডিয়ানদের ভাষা খামির ভাষা এ ছাড়া বিদেশী নাগরিকরা এখানে মোটামুটি ইংলিশ ভাষায়
কমিউনিকেশন করে থাকে পনেরশো জনের মতো বাংলাদেশী নাগরিক রয়েছে বাংলাদেশী সুনামির সাথে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে কারণ কম্বোডিয়া থেকে বিদেশে পুনঃরপ্তানি করা খুবই সহজ এবং চায়না সাথে কম্বোডিয়ার সম্পর্ক থাকার কারণে চায়না থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কোন প্রকারের ট্যাক্স সরকারকে প্রদান করতে হয় না এবার আমাদের পোস্টটিতে মূল পর্বে চলে আসে
কম্বোডিয়াতে আসলে কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায় এশিয়া মহাদেশের সবথেকে বড় বড় ক্যাসিনো গুলো কম্বোডিয়াগড়ে উঠেছে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু হবার উদ্দেশ্যে কম্বোডিয়া পর্যটকদের জন্য স্বাধীনতা দিয়ে থাকে কম্বোডিয়াতে ক্যাসিনো বাণিজ্য একটি বৈধ বাণিজ্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং ভ্রমণের মজা নিতে কম্বোডিয়াতে এসে থাকে
কম্বোডিয়াতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাসিনো রয়েছে এবং এ সকল ক্যাসিনোতে কাজ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে দক্ষ কম্পিউটার অপারেটরের প্রয়োজন হয় আমরা এর আগের পোস্টটিতে প্রকাশ করেছিলাম যে ক্যাসিনোতে কি কি যোগ্যতা থাকলে আপনারা কাজ পাবেন যারা আজকের নতুন পড়ছেন তারা আগের পোস্ট গুলো দেখে আসবেন একজন দক্ষ কম্পিউটার অপারেটর চাকরি করে
প্রতিমাসে এক হাজার থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বেতন পেয়ে থাকে যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় 91 হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা প্রতিদিন ১২ ঘন্টা করে প্রতি মাসে ২৮ দিন করে এ সকল কাজ করতে হয়। ভিডিওটির প্রথম দিকে আমরা বলেছি কম্বোডিয়ার একটি উন্নয়নশীল দেশ এখানে প্রচুর পরিমাণে নির্মাণ কাজ হচ্ছে এ সকল নির্মাণ প্রকল্পের প্রচুর পরিমাণে দক্ষ কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কারের
প্রয়োজন হয় আমরা জানি বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে দক্ষ কনস্ট্রাকশন ওয়ার্কার পাওয়া যায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের দক্ষ নির্মাণ শ্রমিকরা অত্যন্ত সুনামের সাথে কাজ করে আসছে তাই কম্বোডিয়াতেও নির্মাণ শ্রমিকদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে পোস্টটি ভালো লাগলে অবশ্যই একটি লাইক এবং কমেন্ট করবেন।
কম্বোডিয়া ভিসা প্রসেসিং
বাংলাদেশীদের জন্য একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশ প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশীরা দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কম্বোডিয়াতে সুনামির সাথে ব্যবসা করছে এবং ২০১৯ সাল থেকে বৈধভাবে বাংলাদেশ সরকারি অনুমোদিত উপায় ম্যানপাওয়ার কার্ড নিয়ে কম্বোডিয়া বাংলাদেশীরা কাজ করতে চাচ্ছে বর্তমানে আপনারা সহজ তিনটি উপায় কম্বোডিয়াতে যেতে পারবেন যারা কাজ করতে যাবেন যারা ভ্রমণের
উদ্দেশ্যে যাবেন অনলাইন থেকে এ ভিসা আবেদন করে কম্বোডিয়াতে যাবেন আর যারা সরাসরি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যাবেন তারা কম্পিউটার এম্বাসি থেকে পাসপোর্ট এর ভিসার সংগ্রহ করে যাবেন এই তিনটি প্রক্রিয়ায় বিস্তারিত পোস্টটিতটির মধ্যে আজকে আমরা আলোচনা করব প্রথমে যারা কাজের উদ্দেশ্যে যাবেন তাদের ব্যাপারে বলছি আপনারা বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির
মাধ্যমে আবেদন করে পাসপোর্টের ভিসা স্টাম্পিং নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিং করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে কার্ড সংগ্রহ করে যেতে পারবেন এ প্রক্রিয়াতে যেতে আপনাকে কম্বোডিয়া থেকে এয়ারপোর্টে অ্যাডমিশন লেটার সংগ্রহ করতে হবে এটি আপনাকে রেকর্ডিং এজেন্সি গ্রহণ করবে কারণ যারা কাজ করতে যায় তাদের অবশ্যই এয়ারপোর্ট এডমিশন লেটারের প্রয়োজন হয়
আপনি ওয়ান ওয়ে টিকেট করে এয়ার এশিয়া মালয়েশিয়ার লাইফ অথবা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে যেতে পারবেন এরপর কম্বোতে পৌঁছানোর পরে আপনাকে এক বছরের মাল্টিপল এন্ট্রি ফিচার সংগ্রহ করতে হবে এবং ওয়ার্ড পারমিট কার্ড সংগ্রহ করতে হবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতি বছর অনেক ভ্রমণকারী ভ্রমণ করতে আসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ কম্বোডিয়া বাংলাদেশ থেকে অনেক ভ্রমণকারী
আরো পড়ুনঃপ্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লোন
এবং ব্যবসার উদ্দেশ্যে স্বল্প সময়ের জন্য ভিজিট ভিসা নিয়ে কম্বোডিয়াতে ভ্রমণ করতে চায় এই প্রক্রিয়া যাওয়ার জন্য আপনি কম্বোডির নিজস্ব ওয়েবসাইটের ভিসার জন্য আবেদন করবেন মাত্র 36 ডলার দিয়ে আপনি অনলাইন থেকে ই ভিসা গ্রহণ করতে পারবেন। এ প্রক্রিয়ায় যেতে হলে আপনার যাওয়া এবং আসার কনফার্ম টিকেট করতে হবে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন এবং কম্বোডিয়ার ইমিগ্রেসনে আপনার
ভ্রমণের খরচ বাবদ আপনার নিকট ২০০০ ডলার ক্যাশ রয়েছে তা আপনাকে দেখাতে হবে অবশ্যই ক্যাশ ডলার দেখাতে না পারলে আপনাকে কোন অবস্থাতেই কম্বোডিয়াতে ঢুকতে দিবেনা এই ভিসা নিয়ে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে এর আগেও বড় বড় দুই তিনটি দেশ ভ্রমণ করা থাকতে হবে না হলে আপনাকে একজন ভ্রমণকারী হিসেবে বিবেচনা করবেনা এর ভিসা নিয়ে যেতে আপনি থাই
এয়ারওয়েজ এয়ার এশিয়া এয়ারলাইন মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স অথবা সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের টিকিট করতে পারেন থাকার জন্য কোন ধরনের কোন ভিসা ডাইভার্ট করতে পারবেন না তাই কেউ যদি চিন্তা করেন এ পিছনে কাজ করতে যাবেন তাহলে সেখানে গিয়ে আপনাদেরকে অবৈধ হয়ে যেতে হবে আর অবৈধ অবস্থায় আপনি কোন কাজ অথবা ব্যবসা কোন কিছুই করতে পারবেন না এবার আসি যারা
ব্যবসা করতে যাবেন তারা কিভাবে কম্বোডিয়া যাবেন যদি আপনি আপনার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে নিয়ে থাকেন যে কম্বোডিয়াতে ব্যবসা করতে যাবেন তাহলে প্রথমে কম্বোডিয়ার অ্যাম্বাসি থেকে আপনার পাসপোর্টে স্পিকার ভিসা সংগ্রহ করবেন কম্বোডিয়ার কোন এম্বাসি বাংলাদেশে নেই কিন্তু আমাদের নিকটতম দেশ ইন্ডিয়াতে রয়েছে আপনি যে কোন দেশে অবস্থিত অ্যাম্বাসি হতে ভিসা গ্রহণ করে যেতে
পারবেন এ প্রক্রিয়ায় যেতে হলে আপনাকে বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট এবং কম্বোডিয়ো এয়ারপোর্টে আপনার প্রাথমিক ভ্রমণের খরচ ২০০০ ডলার নগদ দেখাতে হবে এই ভিসা নিয়ে যাওয়ার পরে আপনি এক বছরের গ্রহণ করতে পারবেন এছাড়াও আপনি নিজে নিজে আপনার কোম্পানির রেজিস্ট্রেশন করে আপনার কোম্পানির নামে আপনি ভিসা গ্রহণ করতে পারবেন আপনি ব্যবসা করতে চাইলে
আপনার ওয়ার্ক পারমিট কার্ড অবশ্যই প্রয়োজন ভিসা হওয়ার পরে অবশ্যই ওয়ার্ক পারমিট কার্ড করে নিতে হবে কম্বোডিয়া গিয়ে কিভাবে ব্যবসা করা যায়। খুব কম টাকা দিয়ে লিমিটেড লাইবেলিটি কোম্পানি ওপেন করা যায় এবং কম টাকায় ব্যবসা পরিচালনা করা যায় এর ব্যবসা করার প্রক্রিয়া অত্যন্ত সহজ আপনি মোটামুটি একটি ইনভেস্টমেন্ট থেকে শুরু করে অনেক বড় ইনভেস্টমেন্ট দিয়ে
কম্পিউটারে ব্যবসা করতে পারবেন এখানে আইনের জটিলতা খুবই কম এবং কম্বোডিয়ানরা খুবই শান্তশিষ্ট এবং ভদ্র প্রকৃতির হয়ে থাকে বাংলাদেশের জন্য একটি উদাহরণ শ্রমবাজার আমরা যদি আমাদের এই সুযোগ সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমাদের জন্য অনেক বড় সুফল বয়ে নিয়ে আসবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং দালাল চক্র বিভিন্ন ধরনের কাজের এবং ব্যবসা করার প্রলোভন
দেখিয়ে কম্বোডিয়াতে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশীদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করেছে আপনারা সব কিছু জেনে বুঝে তারপরে ঘুরতে যাবেন ।
কম্বোডিয়া দেশ কেমন
আজকে আমরা এশিয়া মহাদেশের একটি দেশ কম্বোডিয়ার সম্পর্কে জানব কম্বোডিয়ার সরকারি নাম কিংডম অফ কম্বোডিয়া এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশে অবস্থিত দেশটির উত্তর পূর্বে লাউস পূর্বে ও দক্ষিণ পূর্বে ভিয়েতনাম পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পশ্চিম থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে থাইল্যান্ড উপসাগর অবস্থিত অর্থনৈতিকভাবে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় একটি দেশ
কম্বোডিয়া তৈরি পোশাক রপ্তানি দেশটির সবচেয়ে বড় শিল্পপতি এই দেশটিতে রয়েছে প্রাগৈতিহাসিক কিছু স্থান এবং মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এসে ওদের তুলনায় তাই পশ্চিমা পর্যটকদের ভিড় তুলনামূলকভাবে একটু বেশি তাহলে বন্ধুরা চলুন কম্বোডিয়াদের সম্পর্কে আরো কিছু জানা অজানা এবং প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নেওয়া যাক প্রাচীনকাল থেকে কম্বোডিয়াতে রাজতন্ত্র বিদ্যমান ছিল এক হাজার
বছরেরও আগে কম্বোডিয়া খমের জাতির রেকর্ড সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ছিল ১৮৬৩ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত এটি একটি ফরাসি প্রটেক্টরের ছিল 1970 সালে রাজতন্ত্রের স্থানে প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং 1975 সালে একটি সাম্যবাদী সরকার ক্ষমতায় লাভ করে তারা দেশটিকে গণতান্ত্রিক পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে পতন ঘটায় এবং অপেক্ষাকৃত সহিংসু একটি সাম্যবাদী সরকার গঠন করে 1989 সালে দেশটি সমাজতন্ত্র
আরো পড়ুনঃবন্ধুর জন্মদিনের শুভেচ্ছা স্ট্যাটাস
পরিত্যাগ করে এবং ১৯৯৩ সালে একটি নতুন সংবিধান পাস করে রাজতন্ত্র কোন প্রতিষ্ঠা করা হয় ১ লাখ ৮১ হাজার ৩৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই দেশটিতে মোট জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি 52 লাখ আয়তনের দিক দিয়ে এটি বিশ্বের আঠাশি তম দেশ খমের ভাষা কম্বোডিয়ার সরকারি ভাষা এছাড়াও দেশটিতে ফরাসি ভাষা ও ব্যাপকহারে প্রচলিত তবে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে ইংরেজি বর্তমানে
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় দেশটির প্রধান ধর্ম হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্ম দেশের প্রায় 97 শতাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী বাকিদের মধ্যে বেশিরভাগই স্থানীয় কিছু ধর্মের অনুসারী এছাড়া এখানে খুবই অল্প সংখ্যক খ্রীষ্টান এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারী আছে শহরটি কম্বোডিয়ার দক্ষিণ মধ্য অঞ্চলে নদীর তীরে অবস্থিত কম্বোডিয়া ফরাসি উপনিবেশীকরণের পর থেকে জাতীয় রাজধানী হয়ে ওঠে এবং বর্তমানে দেশটির
প্রধান অর্থনৈতিক শিল্প ও সাংস্কৃতি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে শহরটির মতো জনসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ যা দেশটির মতো জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ শহরটি একসময় এশিয়ার মুক্ত হিসেবে পরিচিত ছিল এখানে রয়েছে প্রচুর বর্তমানে শহরটিতে নতুন হোটেল রেস্তোরাবার সূর্য এবং আবাসিক বিল্ডিং সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কম্বোডিয়ার আবহাওয়াকে প্রধানত শুষ্ক এবং আর্দ্র এই দুইটি ভাগে ভাগ করা যায় তবে
মৌসুমী বায়ুর কারণে বর্ষাকালের প্রাধান্য বেশি দেশটির গড় বার্ষিক তাপমাত্রা সাধারণত ২১ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে কম্বোডিয়া রাজনীতি একটি সংসদীয় প্রতিনিধিত্বমূলক গণতান্ত্রিক রাজতন্ত্র কাঠামো সংঘটিত হয় রাজা বা রানী হলেন রাষ্ট্রের প্রধান সরকার প্রধান হলেন প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা সরকারের উপর ন্যস্ত কম্বোডিয়ার পতাকা বিশ্বের মধ্যে একমাত্র যার মধ্যে একটি বিল্ডিং
এর ছবি রয়েছে এই বিল্ডিংটি হচ্ছে কম্বোডিয়ায় অবস্থিত বিশ্বের এক অন্যতম ঐতিহ্যবাহী মন্দির অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক মধ্যযুগীয় মন্দির ছবি সালেই স্থাপনাটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ মন্দির বারোশো শতাব্দীতে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন রাজা দ্বিতীয় সূর্য বর্মন তখন থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত। প্রথমদিকে হিন্দু মন্দির হিসেবে ব্যবহৃত হলেও পরে এটি বদ্ধ মন্দির এ
পরিণত হয় প্রধান আকর্ষণ দেশটির জনসংখ্যার গড় বয়স ১৫ বছর বয়স কম্বোডিয়ার প্রায় ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষের বয়স ১৫ বছরের কম এবং ৬০% মানুষের বয়স ৩০ বছরের কম দেশটির বেশিরভাগ মানুষেরই তাদের জন্মদিন নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই যেখানে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মানুষেরাই নিজেদের এবং বন্ধু বান্ধবের জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ পরিকল্পনা করে সেখানে
কমবোডিয়ানরা জন্মদিন নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি পছন্দ করে না তবে জন্মদিন কে গুরুত্বের সাথে না নিলেও শেষকৃত্য তাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সম্ভবত ওই তালিকার সবচেয়ে আকর্ষণীয় তথ্যটি কম্বোডিয়ার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের গড় ব্যয় এখানে একটি অন্তেষ্টিক্রিয়ার গর্বে সাধারণত ৯০০০ মার্কিন ডলার ভিয়েতনামের মতোই কম্বোডিয়াতেও মোটরবাইক অত্যন্ত জনপ্রিয় বাহন দেশটির প্রায় প্রতিটি
পরিবারে একটি করে মোটরবাইক আছে কম্বোডিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে সরকারি নিয়ন্ত্রিত দেশটির মতো জনসংখ্যার প্রায় ৭৮ শতাংশ মানুষ শিক্ষিত কম্বোডিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল তবে অর্থনৈতিক কারণে খেলাধুলার ক্ষেত্রে সাংগঠনিকভাবে পশ্চিমাদের উন্নত নয় অর্থনৈতিকভাবে দেশটি অফার সম্ভাবনাময় তৈরি পোশাক রপ্তানি দেশটির সবচেয়ে বড় শিল্প দেশটির
রপ্তানি রাশি শতাংশে আসে এই খাত থেকে পর্যটনের সম্ভাবনা ও প্রচুর তবে দুর্নীতি জর্জরিত কম্বোডিয়া এখনো বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র রাষ্ট্র এক তৃতীয়াংশ লোকের দৈনিক বেশিরভাগ উৎপাদিত পণ্য মূলত ধান কম্বোডিয়ার সরকারি মুদ্রা রিয়েল এক টাকা সমান প্রায় 49 কম্বল রিয়েল দেশটির মতো জিডিপি প্রায় ২৬.৬২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মাথাপিছু আয় প্রায় ১৬১৪ মার্কিন ডলার কম্বোডি আর ডায়ালিং কোড হচ্ছে +855।
শেষ কথা
আশা করছি প্রিয় পাঠক আপনি পোস্টটি সম্পন্ন পড়েছেন আশা করছি আপনার কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তরটি পেয়ে গেছেন এবং এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধু হিসেবে শেয়ার করবেন এবং এরকম আরো নতুন নতুন ভিসা সম্পর্কে এবং কাজের বিষয় সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত এরকম আর্টিকেল পাবলিশ করা হয় তাই নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটটি ধন্যবাদ।
Comment in accordance with Help Crown's Privacy Policy. Every comment is reviewed.
Help Crown - গোপনীয়তা নীতি অনুসারে মন্তব্য করুন। প্রতিটি মন্তব্য পর্যালোচনা করা হয়.
comment url